বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সিলেট জেলা ও মহানগর কর্তৃক মানববন্ধন সম্পন্ন। মাদরাসার স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকসহ ১৩ দফা দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি।
১৪ নভেম্বর ২০২২, সোমবার বিকাল ২টায় সিলেট সিটি পয়েন্টে মাদরাসা শিক্ষার বৃহৎ অরাজনৈতিক পেশাজীবি সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা মাদরাসার স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ ১৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলার জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দসহ মাদরাসা শিক্ষক কর্মচারীগণ স্বতস্ফূর্তভাবে এতে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ মাদরাসার জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ ১৩ দফা দাবিতে বক্তব্য প্রদান করেন।
সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা আবু সালেহ মো: কুতবুল আলম এর সভাপতিত্বে এবং সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ছরওয়ারে জাহানের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ মাওলানা মো: আতাউর রহমান, সভাপতি, কানাইঘাট উপজেলা, মাওলানা মো: ফরিদ উদ্দিন আতহার, অধ্যক্ষ, ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মদিয়া কামিল মাদরাসা, মাওলানা মো: আব্দুশ শাকুর, উপাধ্যক্ষ, ফতেহপুর কামিল মাদরাসা, মাওলান মো: ফয়জুল্লাহ বাহার, উপাধ্যক্ষ শাহজালাল জামেয়া কামিল মাদরাসা, মাওলানা মো: শিহাব উদ্দিন আলীপুর, অধ্যক্ষ, রাখালগঞ্জ ফাযিল মাদরাসা, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য, বাংলাদেশ আঞ্জুমানে আল ইসলাহ, মাওলানা মাসুক আহমদ, সহ-সভাপতি জকিগঞ্জ উপজেলা, মাওলানা এম এ সবুর, সভাপতি, গোলাপগঞ্জ উপজেলা, ড. মাওলানা সৈয়দ শহীদ আহমদ বোগদাদী, অধ্যক্ষ, মাদারবাজার আলিম মাদরাসা, মাওলানা মো: আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী, সুপার, বোয়ালজুড় দাখিল মাদরাসা, মাওলানা মো: কামাল হোসেন, সহ-সভাপতি বিয়ানী বাজার উপজেলা, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মুক্তাদির খান, সদস্য, সিলেট জেলা, মাওলানা সৈয়দ কুতবুল আলম, সুপার, মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদরাসা।
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদরাসা শিক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন অবদানের কথা স্বীকার করে বলেন মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অবদান এদেশের আলেম-ওলামা, পীর মাশায়েখ বিশেষ করে মাদ্রাসা শিক্ষকদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন কৃতজ্ঞতার সাথে আজীবন স্মরণে রাখবে। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদীসকে স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) সনদের মান প্রদান, মাদরাসা শিক্ষকদের জনবল কাঠামোর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণ, মাদরাসার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, মাদরাসা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, ৫৬০ টি মডেল মসজিদ নির্মাণ, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জাতীয় দিবস ঘোষনাসহ বহুমুখী পদক্ষেপ ইসলামি শিক্ষার ইতিহাসে স্বর্নাক্ষরে লেখা থাকবে। যুগের চাহিদা পূরণে রূপকল্প ৪১, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষাক্রম, পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন, উন্নয়ন কিংবা যুগোপযোগী করা নিয়ে কারো দ্বিমত নেই। শতকরা ৯১% মুসলমান যে দেশে বসবাস করে সে দেশে কুরআন সুন্নাহ, মুসলিম ঐতিহ্য-কৃষ্টি এবং দীর্ঘদিনের লালিত সংস্কৃতির সাথে সাথে বর্তমান চাহিদাকে সমন্বয় করে দেশ বরেণ্য আলেম ওলামাদের অংশগ্রহণে একটি যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক তৈরি হবে এটাই ছিল আমাদের প্রত্যাশা। বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নেতৃবৃন্দের সাথে শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের বিশেষজ্ঞদের অনেক বৈঠকে ব্যাপক পর্যালোচনা হয়। আলেম-ওলামাগণ বারবার একই দাবী করেন যে, মুসলিম জনগোষ্ঠির ইমান-আকিদা, শিক্ষা সংস্কৃতি সমুন্নত রেখে আধুনিক বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্তি ও মাদরাসা শিক্ষার বৈশিষ্ট্য উপযোগী করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক সংস্কার করতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০২২ইং সনের জন্য NCTB কর্তৃক ৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ শ্রেণির স্কুলের জন্য যে ১০টি বই এবং মাদরাসার জন্য ধর্মশিক্ষা বাদ দিয়ে বাকী ০৯টি বই (বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, গণিত, শিল্প সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, জীবন জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, বিজ্ঞান) পাইলটিং/পরীক্ষামূলকভাবে পাঠদান করা হয়েছে এবং ২০২৩ইং সাল থেকে ৬ষ্ঠ, ৭ম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক হিসেবে ঐ সমস্ত বই স্কুল ও মাদরাসায় বাধ্যতামূলকভাবে পড়াতে হবে মর্মে NCTB ঘোষণা দিয়েছে, সেগুলোর বহু বিষয় ইসলামী আদর্শ ও সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক ও আপত্তিকর। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় বর্ণিত পাঠ্যপুস্তক (জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০১০ এ বর্ণিত) মাদরাসা শিক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য এবং স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য উপেক্ষা করে রচিত হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকে সন্নিবিশিত অধিকাংশ ছবি, চিত্র, শব্দ, বাক্য, তথ্য ও উপাত্ত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মর্মাহত এবং তাঁদের সন্তাদের ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে শঙ্কিত করে তুলবে। অধিদপ্তরসমূহ ইতোমধ্যে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরু করে দিয়েছে। সেখানে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ০৯টি বইয়ের মধ্যে কুরআন, সুন্নাহ’র কোনো বানী, কিংবা শিক্ষা, মুসলিম মনীষী, বিজ্ঞানী, কবি, সাহিত্যিকদের বাণী ও উদ্ধৃতি, মুসলিম জীবনাচার ইত্যাদি কোন বিষয় স্থান পায়নি। উপরন্তু আপত্তিজনক বিষয় উপস্থাপিত হয়েছে। যেমন:
বিজ্ঞান বইয়ে নগ্নভাবে নারী পুরুষের ছবি দিয়ে তাদের লজ্জাস্থানের পরিচয় দেয়া হয়েছে এবং ছেলেদের মেয়েদের বিভিন্ন অঙ্গের বর্ণনা দিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ঈমানহারা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ০৯ টি বইয়ে শতশত মেয়ের বেপর্দা ছবি ছাপানো হয়েছে (হিন্দু মহিলার শাঁখা পরা ছবিও রয়েছে)। তাছাড়া প্রচ্ছদসহ সকল বইয়ের বিভিন্ন পৃষ্ঠায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর কোনো ছবিই মাদরাসার শিক্ষা, আদর্শ ও ঐতিহ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ইংরেজি বইয়ে অপ্রয়োজনীয় হওয়া সত্তেও কুকুর ও নেকড়ে বাঘের বহু ছবি ছাপানো হয়েছে যা ইউরোপীয় সংস্কৃতির অংশ বিশেষ। ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে ডারউইনের বিবর্তনবাদ (মানুষ সৃষ্টি হয়েছে বানর থেকে), দেব-দেবীর নগ্ন ও অর্ধনগ্ন ছবি এবং দেবতাদের পরিচয় দেয়া হয়েছে যা আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে প্রত্যাখ্যাত। জীবন জীবিকা বইয়ে ইশপের গল্প, প্রণাম, গান শোনা, নাচ, বাঁশি, হারমোনিয়াম, তবলা, গিটার ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের পাশ্চাত্য ও মুর্তিপূজার সংস্কৃতি চর্চার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও দূর্গাপুজা, গীতাঞ্জলী, কিশোর-কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন অত্যন্ত লজ্জাজনকভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। উপরন্তু বইগুলোতে যে সমস্ত মানুষের নাম ব্যবহৃত হয়েছে একটি মুসলিম দেশে সত্যিই আপত্তিকর। যেমন: আনিকা, লিটল, র্যা ড, প্লাবন, রতন, দীপক, নন্দিনী, এন্তি, মিসেল, মনিকা চাকমা, ডেবিট, প্রিয়াঙ্কা, মন্দিরা ইত্যাদি। সামগ্রিক বিবেচনায় ৯১% মুসলমানের দেশে পাশ্চাত্য ও দেব দেবীর বিশ্বাস ও তাদের আরাধনার শিক্ষা সংস্কৃতির আদলে তৈরি বইগুলো স্কুলের জন্যও উপযোগি নয়। মাদরাসায় এসকল বই পাঠ্যপুস্তক হিসেবে গ্রহণ ও ব্যবহারের প্রশ্নেই আসে না। এধরনের পাঠ্যপুস্তক মাদরাসায় পাঠদানের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রেরিত এবং নির্দেশিত হলে, এটি মাদ্রাসা শিক্ষা বান্ধব সরকারকে ইসলাম ও মুসলমানদের ঐতিহ্য বিরোধী হিসেবে দাঁড় করিয়ে ধর্ম ও মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে মাননীয় প্রদানমন্ত্রীর সকল অর্জনকে ম্লান করে দিবে, যা কোনো অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস ও প্রত্যাশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের যৌক্তিক দাবী এবং জাতীয়ভাবে গৃহীত মাদ্রাসা শিক্ষার স্বতন্ত্র্য অক্ষুন্ন রাখতে তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্যোগী হবেন এবং আমাদের দাবী বাস্তবায়ন করে লক্ষ লক্ষ আলেম, ওলামা, পীর মাশায়েখ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ করবেন।
মানবন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা মো: আব্দুল্লাহিল বাকি, অধ্যক্ষ, বিয়ানীবাজার কামিল মাদরাসা, মাওলানা মো: আব্দুল লতিফ, মুহাদ্দিস, বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাসা, মাওলানা মো: আব্দুল বাছিত, মুহাদ্দিস, সৎপুর দারুল হাদিস কামিল মাদরাসা, মাওলানা মো: মোশাররফ হোসেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, হযরত শাহজালাল ফাজিল মাদরাসা, মাওলানা মো: সাদিকুর রহমান শিবলী, সেক্রেটারী ওসমানীনগর উপজেলা, মাওলানা আবু সালেহ আল মাহমুদ, অধ্যক্ষ চকবাজার আলিম মাদরাসা, মাওলানা মো: আব্দুল জব্বার চৌধুরী, সভাপতি বালাগঞ্জ উপজেলা, দোয়া পরিচালনা মাওলানা নুমান আহমদ, সহকারী মহাসচিব কেন্দ্রীয় পরিষদ, মাওলানা সফিকুর রহমান, অধ্যক্ষ, আব্দুশ শহীদ আলিম মাদরাসা, কোরআন তিলাওয়া করেন মাওলানা মারুফ আহমদ, মাওলানা মো: আব্দুল মুমিত, অধ্যক্ষ, মুসলিমাবাদ আলিম মাদরাসা, মাওলানা মো: আজিজ আহমদ, অধ্যক্ষ হাউসা আলিম মাদরাসা, মাওলানা মো: নুরুল হুদা, অধ্যক্ষ, আছিরগঞ্জ আলিম মাদরাসা, মাওলানা মো: মুহিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক, জকিগঞ্জ উপজেলা, অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান, অধ্যক্ষ, খরিল নেজামুল উলুম ফাযিল মাদরাসা, মাওলানা হামিদুর রহমান, সুপার, জালালিয়া মহিলা দাখিল মাদরাসা, মাওলানা রমিজ উদ্দিন, সহ-সুপার, উত্তর আকাখাজানা দাখিল মাদরাসা, মাওলানা মো: আবুল কালাম আজাদ, সুপার, দুবাগ বাজার দাখিল মাদরাসা, কাজী মাওলানা কাওছার হোসেন, সুপার, কোনাগ্রাম দাখিল মাদরাসা, মো: আব্দুর রউফ, সাধারণ সম্পাদক, গোলাগঞ্জ উপজেলা, মাওলানা মো: আমির হোসাইন, সুপার, জলডুপ দাখিল মাদরাসা, মাওলানা মো: আব্দুল কাইয়ুম, সুপার, আলহাজ্ব মিনাবেগম দাখিল মাদরাসা, অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ বদরুল আলম, মাওলানা মো: আব্দুল বারী, সুপার, সিলাম ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, সুপার, মিরগঞ্জ দাখিল মাদরাসা, মাওলানা মো: আরিফ আহমদ, সুপার, চারখাই দারুচ্ছুন্নাহ লতিফিয়া মাদরাসা, মাওলানা মাহফুজুর রহমান, সুপার, হযরত শাহজালাল লতিফিয়া এতিমখানা মাদরাসা, গোলাপগঞ্জ, মাওলানা সফিকুর রহমান, সুপার, বরায়া উত্তরভাগ দাখিল মাদরাসা, মাওলানা মাহমুদ হোসেন, মাওলানা আব্দুল বাছিত, সুপার, ফুলসাইন্দ মহিলা দাখিল মারদাসা, মাওলানা ইউনুছ আহমদ, মাওলানা মারজানুর রহমান খান, মাওলানা মহিব্বুল্লাহ, মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, মাওলানা রেদ্বাউল করীম, মাওলানা জামাল উদ্দিন, মাওলানা ফজলে রাব্বী সাইদ, জনাব আরিফুল হক সরকার সহ বিভিন্ন মাদরাসা থেকে আগত প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নেতৃবৃন্দ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপিতে উত্তাপিত দাবিসমূহ-
১। মাদরাসা শিক্ষার জন্য এ সরকারের প্রণীত ও জাতীয় সংসদে গৃহীত জাতীয় শিক্ষা নীতি-২০১০ এ বর্ণিত মাদরাসা শিক্ষার স্বীকৃত উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য পুরণের উপযোগী স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম, পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যবই NCTB, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের বিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ আলেমদের সমন্বয়ে প্রণয়ন করার বিকল্প নেই। অনতিবিলম্বে একটি সমন্বিত কমিটি গঠন করে এ কাজ শুরু করতে হবে।
২। দাবীকৃত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পাঠ্যবই প্রণয়নের পূর্ব পর্যন্ত প্রচলিত পাঠ্যপুস্তকসমুহ পাঠদান অব্যাহত রাখতে হবে।
৩। সাধারণ শিক্ষায় SSC পরীক্ষা দশটি বিষয়ে ১০০০ নম্বরের অনুষ্ঠিত হবে। মাদরাসা শিক্ষার দাখিল পরীক্ষার জন্য কোরআন, হাদিস, আকাঈদ ও ফিক্হ এবং আরবিসহ মূল বিষয় ঠিক রেখে অন্যান্য সাধারণ বিষয়ের সাথে সমন্বয় সাধন করে ১০০০ নম্বর নির্ধারণ করতে হবে।
৪। বেসরকারি সকল স্তরের শিক্ষক-কর্মচারীগণের চাকুরী জাতীয়করণ করতে হবে।
৫। সংযুক্ত ইবতেদায়ি প্রধানসহ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের উপযুক্ত বেতন-ভাতা প্রদান করতে হবে এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায় স্বতন্ত্র ও সংযুক্ত ইবতেদায়ি শিক্ষার্থীদেরকে উপবৃত্তি, টিফিনভাতাসহ সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করতে হবে।
৬। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত ২০১৮ সালে প্রণীত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার নীতিমালা শতভাগ বাস্তবায়ন করতে হবে এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা মঞ্জুরী পুণরায় চালুর মাধ্যমে ১৪ বছরের অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে হবে।
৭। মহিলা কোটা শিথিল ও সংশোধনপূর্বক যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
৮। আরবি প্রভাষকগণের উচ্চতর পদে আসীন হওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৯। আলিম মাদরাসায় অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে আরবি প্রভাষকদের জন্য পথ উন্মুক্ত করতে হবে।
১০। কামিল পাশ সহকারী মৌলভীদের উচ্চতর স্কেলের ব্যবস্থা করতে হবে।
১১। মাদরাসা শিক্ষকগণের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট স্থাপন করতে হবে।
১২। মাদরাসার জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) এর সাথে স্কুল ও কলেজের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর সমন্বয় করতে হবে।
১৩। প্রায় দুই হাজার শিক্ষকের ইনক্রিমেন্ট কর্তন করা হয়েছে যা অমানবিক। অনতি বিলম্বে বকেয়াসহ প্রাপ্য ইনক্রিমেন্ট প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।