সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলায় সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে বাসা নির্মাণ করে স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবার প্রভাবশালী মহলের কাছ থেকে সরকারি জায়গা উদ্ধার করে রাস্তা খোলে দেয়ার দাবীতে সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গত ২৩ নভেম্বর সোমবার মন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন ভার্থখলা স্বর্ণালী-বি ব্লকের মৃত আতাউর রহমানের ছেলে আতিকুর রহমান।
স্মারকলিপি সূত্রে জানা যায়, কীনব্রিজের দক্ষিণ পাশে ভার্থখলা মৌজার ১৮৩ নং দাগে আতিকুর রহমান গংদের নিজস্ব বাড়ি। উক্ত বাড়িতে যাতায়াতের কোন রাস্তা না থাকায় দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ তারা সরকারি জায়গার উপর দিয়ে যাতায়াত করে আসছেন। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী উক্ত বাড়িতে আসা যাওয়ার জন্য ১২ ফুট X ৫ ফুট কালভার্ট সহ ১০০ ফুট X ১২ ফুট পরিমাপের সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য বিগত ২০১১ ইং সালের অক্টোবর এবং ২০১২ সালের জানুয়ারী মাসে সড়ক ও জনপথ সিলেট বরাবরে লিখিত আবেদন করেন। কর্তৃপক্ষ আশ^াস দিলেও অদ্যবধি বন্দোবস্তের কোন কাগজ পায়নি আতিকুর রহমান।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ভার্থখলার আব্দুন নূর এর ছেলে আবুল হাসান শ্যামল গংরা উক্ত সরকারি জায়গা দখল করে আতিকুর রহমান গংদের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে বাসা নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছে। প্রতিমাসে সেখান থেকে ৩০ হাজার টাকা ভাড়া পাচ্ছে আবুল হাসান শ্যামল গংরা।
১০/১০/২০১১ সাল থেকে উক্ত জায়গার বিষয়ে সড়ক ও জনপথ সিলেটকে অবগত করার পরও কিভাবে সরকারি জায়গা আবুল হাসান শ্যামল গংদের নামে বি.এস রেকর্ড হয় তা বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আতিকুর রহমান গংরা জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, সড়ক ও জনপথ সিলেট বরাবরে অভিযোগ করার পর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বিগত ২৬/০২/২০১৪ইং তারিখে যোগাযোগ মন্ত্রী বরাবরে অভিযোগ করলে তার দপ্তর হতে স্বাঃ- ৭৯, তারিখ ০৪/০৩/২০১৪ তারিখে পত্রের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু আজ অবদি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
মানবিক কারণে আতিকুর রহমান গংদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তার জায়গা প্রদান এবং সরকারি জায়গা উদ্ধারে মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।