ঢাকা,২২শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

সিলেটে হকারদের পুর্নবাসন করলো সিসিক

received_1351503205189066.jpeg

নগরীর রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে দোকান বসানো ভ্রাম্যমাণ হকারদের অবশেষে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করছে সিলেট সিটি করপোরেশন। বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) দিনভর এ লক্ষ্যে কার্যক্রম চালিয়েছে সিসিক। এতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।

জানা গেছে, নগর ভবনের পেছনের খালি মাঠে এক হাজারের অধিক হকারকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সিসিক। সে লক্ষ্যে বুধবার থেকে কাজ শুরু করেছে।
নগরীর সবচেয়ে ব্যস্ততম বন্দর-জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা সড়ক ও ফুটপাত সম্প্রতি সম্প্রসারণ ও সংস্কার করেছে সিটি করপোরেশন। তবে সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার আগে এই সড়কের বেশিরভাগ অংশ ও ফুটপাত দখলে নিয়ে নিয়েছে হকাররা। এছাড়াও পুরো বন্দরবাজারের সকল সড়কই হকারদের দখলে। সিটি কর্তৃপক্ষ হকার উচ্ছেদে নামলেই হকাররা আন্দোলন শুরু করেন।
তাই হকারদের দাবির প্রেক্ষিতে নগরীর প্রাণকেন্দ্রের সড়কককে হকারমুক্ত করতে বিশেষ উদ্যোগে নিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। নগর ভবনের পেছনের খালি মাঠে এক হাজারের অধিক হকারকে পুনর্বাসনের জন্য বুধবার থেকে জায়গা ভাগ করা শুরু হয়েছে। কাজটি শেষ করতে কয়েকদিন লাগবে। হকারদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার আওতায় এনে সিটি করপোরেশন থেকে লাইসেন্সও প্রদান করা হবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে নগর ভবনের পেছনের খালি মাঠে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১ হাজার ৭০ জনের তালিকা করেছে সিসিক। তবে এদের মধ্যে জায়গা কতটুকু করে বন্টন করা হবে তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। এর জন্য কয়েকদিন সময় লাগবে।

বুধবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নগর ভবনের পেছনের মাঠে বাঁশের খুঁটি গেড়ে তাতে সুতা বেঁধে দোকানের লাইন এবং সীমানা টানা হয়েছে। মাইকে ডেকে ডেকে হকারদের নাম তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদের তত্বাবধানে এই কার্যক্রম চলছে। উপস্থিত রয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান এসেসর চন্দন দাশ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
বুধবার রাত পর্যন্ত প্রথম দিনের কার্যক্রম চলবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া এন্ড কমিউনিটি সার্ভিস) বি.এম. আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, নগর ভবনের পেছনের খালি মাঠে হকারদের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া আজ (বুধবার) থেকে শুরু করেছে সিসিক। এতে সহযোগিতা করছে এসএমপির ট্রাফিক বিভাগ।
তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ১ হাজার ৭০ জনের তালিকা করা হয়েছে। তবে দোকানপ্রতি জায়গার পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। এর জন্য কয়েকদিন সময় লাগবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

scroll to top