সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার ৮ নং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ব্রাহ্মণ মান্দারুকা গ্রামের কৃতি সন্তান একজন সফল উদ্যোক্তা
জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ তরুণ উদ্যোক্তা এওয়ার্ড প্রাপ্ত ও সিলেট বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক মো. ইমতিয়াজ কামরান তালুকদার। ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিলেট এম সি কলেজ থেকে পলিটিক্যাল সায়েন্সে পোস্ট গ্রাজুয়েশন সূ-সম্পূণ করেন।যে কি না কৃষির উপর আস্থা রেখে কাজ করে যাচ্ছেন তা আসলে সত্যি দেখে ভালো লাগে।তিনি বলেন, তালুকদার এগ্রো ফার্ম একটি পরিপূর্ণ খামার বাড়ি।সিলেট ফ্রিডম গ্রুপ অব কোম্পানির একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।তালুকদার এগ্রো ফার্মে পাইলট প্রকল্পে চাষ চলছে মাছ,লালশাক,পুঁইশাক, বেগুন,লেবু, ঝিগা,দেরস,পেঁপে,পটল, কাঁটা জামির,কমলা লেবু,লেবু,কলা,লাউ,টমেটো, নারকেল,সুপারি ইত্যাদি জমিতে চাষ চলছে।এছাড়াও চাষ প্রকল্পের জমিতে উন্নত জাতের ফুলকপি,বাধাকপি,গাজর, গোল আলু,পেঁয়াজ, রসুন,কাঁচা মরিচ,উন্নত জাতের পেয়ারার, গরু,ছাগল,হাঁস,ট্রাকি,কোয়েল পাকি, কবুতর,সোনালী মুরগী,ড্রাগন,মটর,গম, ইত্যাদি পাইলট প্রকল্পে চলমান।তিনি বলেন, ইউনিভার্সিটি তে পড়াশোনা থাকাকালীন সময়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কৃষির উপর একটি ট্রেনিং করে অনেক আগ্রহ জাগে। পরবর্তীতে পড়াশোনা শেষ করে বাবার পরিত্যক্ত জমিতে এই কাজগুলো করতে আগ্রহ প্রকাশ করি,যদিও পরিবার থেকে না বলা হয়েছিল প্রথমে পরবর্তীতে সফলতা দেখে সবাই আগ্রহ প্রকাশ করেন।আসলে কৃষির উপর আস্থা রেখে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।আপনি মেধাবী,ডিগ্রি অর্জন করেছেন খুবই ভালো সেই অহংকারে হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না।দরকার সৎ সাহস,জেদ,পরিশ্রমী মনোভাব এবং জেনে শুনে বুঝে যেকোনো একটা কাজ বেছে নেওয়া।যেটায় আপনি সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন সেটাই করবেন।যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও সরকারি বেসরকারি এনজিও থেকে কৃষির উপর ২০ টি ট্রেনিং সফল ভাবে সম্পূর্ণ করেন।বাণিজ্যিক ভাবে আগামীতে চাষ প্রকল্পে বেইজিং হাঁস,খাকী ক্যাম্পবেল হাঁস, সোনালী মুরগী,দেশী মুরগী,টার্কি, সোনালী হাইব্রিড, টাইগার মুরগি,তিতির,আসিল, কাদাকনাথ, সিলকি, ফাউমি ও বিভিন্ন প্রজাতির ফেন্সি বার্ড সহ প্রায় ২০ প্রজাতির পোল্ট্রি তালুকদার এগ্রো ফার্মে কাজ চলমান। আসলে পরিশ্রম, ধৈর্য্য, অধ্যাবসায়, সাহস ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে সংগ্রাম করে সাহসীকতার মধ্য দিয়ে কৃষি খামার করে তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা ও খামারী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।পরিশ্রম মানুষকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যায় তার বাস্তব প্রমাণ হলো মো.ইমতিয়াজ কামরান তালুকদার।তালুকদার এগ্রো ফার্মের স্বত্তাধিকারী মো. ইমতিয়াজ কামরান তালুকদার।কঠোর পরিশ্রম করে একজন মডেল খামারী হিসেবে ইতোমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছেন।পরিশ্রম,ধৈর্য্য,অধ্যাবসায়, সাহস ও মেধাকে কাজে লাগাতে পারলে মো. ইমতিয়াজ কামরান তালুকদারের মতো সকলেই এক সময় ক্রমান্বয়ে উপরে উঠতে থাকবে।তিনি বলেন, সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে সবজি, ফলমূল,পোল্ট্রি তালুকদার এগ্রো ফার্ম খামারটি পরিপাটি ভাবে সাজানো গোছানো।