উন্নত দেশ হওয়ার প্রধান মাধ্যম হল শিক্ষা। সেই লক্ষে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষাকে মহান পেশা হিসেবে বেছে নেন শিক্ষা পরিবারের কৃতি সন্তান, ইতিহাসবিদ ও বরেণ্য শিক্ষাবিদ উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতফুল হাই শিবলী। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সিলেট মদনমোহন কলেজের প্রভাষক ও ধর্মপাশা উপজেলা আওয়মীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ সুয়েবুর রহমান সুয়েব।
শোকবার্তায় প্রভাষক সুয়েব বলেন, বরেণ্য অর্থনীতিবিদ, প্রথিতযশা লেখক, কূটনীতিবিদ, সাহিত্য-সংস্কৃতির আঁধার সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও এ্যামিরেটাস অধ্যাপক, সাবেক জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্টদূত, বাংলাদেশ সরকারের জনবান্ধব পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ.কে আব্দুল মোমেন এর ভগ্নিপতি ড. আতফুল হাই শিবলী আমৃত্য শিক্ষার জন্য কাজ করে গেছেন। দেশের শিক্ষা-সাহিত্য ও সংস্কৃতির বাতিঘর হিসেবে জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। দেশের শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে এবং আলোকিত মানুষ গড়তে কাজ করেছেন। সাদাসিদে ও অত্যন্ত সহজ সরলভাবে জীবন যাপন করেছেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও উপ-উপাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য এবং নর্থইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে কর্মরত অবস্থায় আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান।
কর্মস্থলের প্রতিটি মানুষ ছিল তাঁর আপনজন। বটবৃক্ষের ন্যায় ছায়ার মতো করে আপন করে রখেছেন আমাদের প্রিয় শিবলী স্যার। তাঁর চলে যাওয়ায় দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হল। তাঁর এ শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমেই বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল। স্যারের আদর্শকে ধারন করে আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ ও প্রেরণা যোগাবে। সুয়েবুর রহমান বলেন, স্যারের কৃতকর্মে শিক্ষক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। তিনি তাঁর পরিবার, মদনমোহন কলেজ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রতিতযশা অধ্যাপক ড. আতফুল হাই শিবলী স্যারের জন্য গভীর শোক প্রকাশ ও মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে জান্নাত কামনা করেন এবং তাঁর পরিবার, শুভাকাংখী ও ভক্তদের সমবেদনা জানান।
উপাচার্য ড. আতফুল হাই শিবলীর মহাপ্রয়াণে প্রভাষক সুয়েবুর রহমানের শোক প্রকাশ
