ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠা ছাড়া শ্রমজীবী
মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না
—–মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সিলেট মহানগরের প্রধান উপদেষ্ঠা মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, রাষ্ট্রের প্রধান চালিকা শক্তি হয়েও শ্রমিকরাই সবচেয়ে অবহেলিত জনগোষ্টী। তাদের ঘামে রাষ্ট্রের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক মজবুতি নিশ্চিত হলেও তাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয় না। রাষ্ট্র এবং সরকারের আন্তরিকতার অভাবে শ্রমিকরা আজো শোষণ-বঞ্চনার শিকার। আমাদের শ্রমিক সমাজ আজ আদর্শবিহীন ও দ্বিধাবিভক্ত। তাই তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব হচ্ছেনা। শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন ও ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত হচ্ছে নৈতিকতা সম্পন্ন সুনাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলা। কারণ নৈতিকতা সম্পন্ন দক্ষ শ্রমিক সমাজই হবে বাংলাদেশের আগামীর কর্ণধার। সমাজে ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত হলে শুধু শ্রমিক কেন, প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সুরক্ষিত থাকে। কারণ ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে জবাবদিহিতামূলক মানসিকতা ইহকালিন সাফল্যের পাশাপাশি পরকালিন মুক্তির পথ প্রশ^স্ত করে। আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ ও ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠার দৃঢ় শপথ নিতে হবে।
তিনি শনিবার মহান মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সিলেট মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভা ও কর্মহীণ শ্রমিকদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট মহাগর সভাপতি এডভোকেট জামিল আহমদ রাজুর সভাপতিত্বে, সেক্রেটারী এডভোকেট ইয়াসীন খাঁনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী ও সিলেট অঞ্চল পরিচালক মাওলানা সোহেল আহমদ।
বক্তব্য রাখেন, ফেডারেশনের সিলেট মহানগর সহ-সভাপতি ফারুকুজজামান খান, অফিস প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বদরুজ্জামান ফয়সাল, ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাসেল, শ্রমিক নেতা আব্দুল জলিল, আব্দুল বাছিত মিলন, দিলশাদ মিয়া, এটিএম খসরুজজামান, নাজমুল ইসলাম, বেলাল আহমদ, ইকবাল হোসেন, আব্দুস সাত্তার মুন্না ও মুজিবুর রহমান প্রমুখ।