সিলেটে আজ অল্প সময়ের ব্যবধানে ৪-৮ টি ভূমিকম্প হল। এ ভূমিকম্প হয়তবা সিলেট তথা বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ বা সৌভাগ্যের। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আর কোন ভূমিকম্প যদি না হয় (সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না) তবে সিলেট অঞ্চলবাসী কিছুটা স্বস্তি অনুভব করতে পারেন। কারণ এই ভূমিকম্পের মাধ্যমে ডাউকি ফল্টে ১৮৯৭ সালের পর থেকে জমা হওয়া শক্তির কিছু অংশের আজ হয়তো ক্ষয় হ’ল।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞগণের মতে সিলেটের নিকটবর্তী মেঘালয়ের ডাউকি ফল্টে ৮ মাত্রার অধিক ভূমিকম্প হওয়াটা শুধু সময়ের ব্যাপার। বিশ্ববিখ্যাত নেচার সাময়িকীর ভুমিকম্প বিষয়ক প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধে উল্লেখ রয়েছে, যদি একটি মাত্র বড় ভূমিকম্পের মাধ্যমে ডাউকি ফল্টে জমা হওয়া সকল সঞ্চিত শক্তির উদগীরণ হয় তবে তার ভয়াবহতা হবে অকল্পনীয়। ঢাকা ও সিলেট শহরের অবস্থা হতে পারে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমানবিক বোমার পরে যে ধ্বংশযোগ সাধিত হয়েছিল সেই একই মানের। কিন্তু যদি ছোট-ছোট ভূমিকম্পের মাধ্যমে ডাউকি ফল্টে জমা হওয়া শক্তির ক্ষয় হয় তবে তা হবে সিলেট তথা বাংলাদেশের মানুষের জন্য আশীর্বাদ।
অপরদিকে, ছোট-ছোট ভূমিকম্প যদি পুরো ডাউকি ফল্টকে অস্থিতিশীল করে দিতে পারে। এতে সিলেট তথা পুরো বাংলাদেশে ক্ষয়ক্ষতি হবে অকল্পনীয়। তাই, আগামী ২৪ ঘণ্টা এবং আগামী সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রার্থনা করি/করুন, যেন এই ছোট-ছোট ভূমিকম্পসমুহ যেন অশেষ কল্যাণের কারণ হয়, মহান রব্ব্ আমাদের রক্ষা করুন, সকলের সহায় হোন।
লেখক
নিশাতুর রহমান কোরেশী
ব্যবস্হাপক
জালালাবাদ গ্যা