শুভ আরবি নববর্ষ-১৪৪৩, ইতিহাস ও গুরুত্ব
সিলেট মহানগর বিএনপির সংগ্রামী সাংগঠনিক সম্পাদক, ছাত্রদলের এক সময়ের কেন্দ্রীয় নেতা, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী জননেতা মাহবুব চৌধুরী।
স্বাগত হিজরি নববর্ষ ১৪৪৩। হিজরি সনের প্রথম মাস মহররম। ইসলামে হিজরি সন ও তারিখের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ হিজরি সন এমন একটি সন, যার সঙ্গে মুসলিম উম্মাহর তাহজিব-তামাদ্দুন ও ঐতিহ্যের ভিত্তি সম্পৃক্ত। মুসলমানদের রোজা, হজ, ঈদ, শবেবরাত, শবেকদর, শবে মেরাজসহ ইসলামের বিভিন্ন বিধি-বিধান, আচার-অনুষ্ঠান ও আনন্দ-উৎসবস হিজরি সনের ওপর নির্ভরশীল।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, হিজরি সনের পহেলা মাস মহররম একের পর এক আমাদের দুয়ারে উপস্থিত হয় ঠিক, কিন্তু হিজরি সনের শুভআগমন উপলক্ষে হইচই নেই। নেই কোনো প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার বিশেষ কোনো আয়োজন। যেমনভাবে বিশেষ আয়োজন দেখি বাংলা এবং ইংরেজি নববর্ষে । বাংলা ও ইংরেজি নববর্ষকে যেভাবে গুরুত্ব দিয়ে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে উদযাপন করা হয়, তাতে মনে হয় হিজরি নববর্ষের যেন আমাদের কোনো প্রয়োজনই নেই! অথচ হিজরি নববর্ষকে গুরুত্বসহকারে পালন করাই ছিল আমাদের মুসলিম অধ্যুষিত দেশে কাম্য।
হিজরি সন গণনার সূচনা হয়েছিল ঐতিহাসিক এক অবিস্ময়রণীয় ঘটনাকে উপলক্ষ করে। রাসূল (সা.) এবং তাঁর সঙ্গী-সাথীবর্গের মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্যই আরবি মহররম মাসকে হিজরি সনের প্রথম মাস ধরে সাল গণনা শুরু হয়েছিল। আল্লাহর নির্দেশ পালনার্থে পবিত্র মক্কা থেকে মদিনায় রাসূল (সা.) এবং সাহাবায়ে কেরামগণের হিজরত থেকেই হিজরি সনের সূচনা। এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় হিজরতের ১৬ বছর পর ১০ জুমাদাল উলা ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে।