ঢাকা,২রা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী মহানগরীতে এবি পার্টির রাজনৈতিক কর্মশালা: পুলিশী বাঁধায় স্থান পরিবর্তণ

IMG-20210829-WA0004.jpg

বিশেষ প্রতিবেদকঃ মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার | ঢাকা

আফগানিস্তানে মার্কিন ও তালেবানদের সমঝোতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের পরস্পর হানাহানি বন্ধ করতে ঐকমত্যে আসা উচিত। এবি পার্টি রাজশাহী মহানগর শাখার উদ্যোগে সকাল ১০ টায় স্থানীয় এক কমিউনিটি সেন্টারে দলের সংগঠকদের নিয়ে রাজনৈতিক কর্মশালা
অনুষ্ঠিত হয়। মহানগর সমন্বয়ক প্রিন্সিপাল আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আহমাদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির আহবায়ক সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরী। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্টির সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল ও শাহ আব্দুর রহমান।

এর আগে আরএমপি’র বোয়ালিয়া থানা পুলিশ এবি পার্টির কর্মশালায় বাঁধা সৃষ্টি করে এবং শেফ গার্ডেন হলে’র বুকিং বাতিল করে। পরে আয়োজকরা তাৎক্ষণিক স্থান পরিবর্তণ করে অন্য একটি কমিউনিটি সেন্টারে কর্মশালার আয়োজন করেন।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ধনী গরীব নির্বিশেষে সবার ট্যাক্সের টাকায় আমরা পড়াশোনা করেছি। দেশের অধিকাংশ মানুষ গরীব। গরীব কখনও ট্যাক্স ফাঁকি দেয়না। কিন্তু প্রতিদিন নানা ভাবে সে যে ট্যাক্স দেয় তার মাসিক ও বাৎসরিক পরিমাণের হিসাব সে জানেনা। ধনীরা সংখ্যায় কম হলেও বেশীরভাগ ট্যাক্স ফাঁকি তারাই দেয় এবং বড় বড় দুর্নীতিগুলো সব তারাই করে। যদি গরীব লোকেরা জানতো তারা বাৎসরিক কত ট্যাক্স দেয় তাহলে এদেশে ধনিরা দুর্নীতি করার সুযোগ পেতোনা। তিনি বলেন গরীব জনগোষ্ঠীকে তাদের অধিকার ও অবদান সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই আমরা একটি কর্মসূচি ভিত্তিক রাজনৈতিক দল গঠন করেছি। তিনি রাজশাহী বাসীকে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের রাজনীতিতে শামীল হওয়ার আহ্বান জানান।

প্রধান বক্তা মজিবুর রহমান মঞ্জু উপস্থিত সকলের বিভিন্ন পর্যায়ের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি বলেন, আমরা তত্ব, মতবাদ ও ধর্মীয় বিতর্কের বাইরে গিয়ে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের জন্য পার্টি গঠন করেছি।দেশের মানুষের মধ্যকরা ধর্মীয় বিভাজন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে বিতর্ক এসবকিছুকে ছাপিয়ে আমাদের রাষ্ট্র গঠনে মনোযোগ দিতে হবে। বিতর্ক অনেক হয়েছে, বিগত পঞ্চাশ বছর যাবত নাগরিক অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। এখন আমরা মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমে সকলের অধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই। তিনি বলেন ২০ বছর পর আমেরিকা বুঝতে পেরেছে তাদের আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালানোটা ভুল হয়েছে। তালেবানরা উপলব্ধি করেছে তাদের নীতির পরিবর্তণ দরকার। ফলে আজ তারা নিজ নিজ মনোভাব থেকে সরে এসেছে। মন্জু বলেন— আফগানিস্তানে মার্কিন ও তালেবানদের সমঝোতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের পরস্পর হানাহানি বন্ধ করতে ঐকমত্যে আসা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

scroll to top