সফিকুল ইসলাম : কোম্পানীগঞ্জ বাসির বহুল প্রত্যাশীত সিলেট-ভোলাগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মহাসড়কটি অদক্ষ চালক ও হযবরল পারকিং এবং অনিয়ম তান্ত্রিক ও ব্যাপোয়ারা গাড়ি চালনো এক মরণ ফাদে পরিণত হয়েছে। প্রায়ই দেখা যানজট ও লাইসেন্স বিহীন চালকদের ব্যাপোয়ারা গাড়ি চালানোর কারনে দূর্ঘটনায় মারা যায় পথচারী বা কোন না কোন গাড়িচালক বা যাত্রী। কোম্পানীগঞ্জ বাসীর আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন এই মহাসড়কটি ২০১৭ সালের শুরুর দিকে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ২৪ ফুট প্রস্থের এ সড়কের কাজ প্রায় শেষ হতে না হতেই দেখা দিয়েছে এই রকম নানান সমস্যা। টুকের বাজার পয়েন্ট থেকে ভোলাগঞ্জ পয়েন্ট অব্দি প্রায় সবসময়ের মতোই রাস্তার কিনারে পার্কিং করা থাকে সারি সারি গাড়ি। এই কারণে ঘাটে নানা রকমের সড়ক দুর্ঘটনা ।
এনিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বললে বলেন আমরা ট্রাক ড্রাইভার সহ সবাইকে বারবার নিষেধ দেওয়ার পরেও তারা তা মানতে অনিচ্ছুক। এই ব্যাপারে আমরা সাধারণ মানুষের কথা কেউ শুনে না। অত্র এলাকার দায়িত্ব শীলদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন। দায়িত্ব শীলরা এগিয়ে না আসায় নেওয়া হয়নি কোনো আইনি পদক্ষেপ। যার কারনে ২৪ ফুট রাস্তার মধ্যে সবসময় ৮ ফুট পার্কিংয়ের দখলে ।
রাস্তার প্রসস্থ কমে যাওয়ার কারনে একসাথে দুটো গাড়ি ক্রসিং এর সময় ঘটে যায় নানা ধরনের দুর্ঘটনা। এতে চরম ভোগান্তি এবং হুমকির মুখে পড়েতে হচ্ছে কোম্পানীগঞ্জের সাধারণ জনগণকে। স্থানীয়রা জানান নির্দিষ্ট কোন জায়গায় গাড়ি পার্কিং করা থাকলে এ সব ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এই সমস্যা দূড়িকরনের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে সাধারণ মানুষের আকুল আবেদন। তারা যেন সকল প্রকার অনিয়ম পারকিং ও লাইসেন্স ছাড়া চালকদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হয়। তাহলেই সাধারণ মানুষ যানজট ও দূর্ঘটনা নামক মরণ ফাদ থেকে রক্ষা পাবে বলে তারা মনে করে।